হজ ও ওমরার ইহরামের জন্য নির্ধারিত স্থান বা মিকাত

20835

 

আভিধানিক অর্থে মিকাত

দুই জিনিসের মাঝে সীমানা

শরয়ী পরিভাষায় মিকাত

শরীয়ত প্রবর্তক ইবাদাতের জন্য যে স্থান ও কাল নির্ধারণ করে দিয়েছেন তাকেই মিকাত বলে।

মিকাতের প্রকারভেদ

প্রথমত: স্থান-বিষয়ক মিকাত

স্থান-বিষয়ক মিকাত

হজ্বের ইহরাম বাঁধার জন্য শরীয়ত প্রবর্তক যেসব স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন|

তাই যে ব্যক্তি হজ্ব অথবা উমরা করার ইচ্ছা করবে, তার জন্য ইহরাম ব্যতীত এসব স্থান অতিক্রম করা বৈধ নয়। আর মিকাত হলো পাঁচটি (শায়খ আবদুল্লাহ আল বাস্সাম, মিকাত ও তার দূরত্ব, মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিকহ আল ইসলামি, সংখ্যা ৩, খণ্ড ৩, পৃ: ১৫৫৩)

যুলহুলাইফা:

মদীনার দক্ষিণে অবস্থিত। স্থানটি বর্তমানে আবয়ারে আলী বলে খ্যাত। মক্কা থেকে এ মিকাতের দূরত্ব প্রায় ৪২০ কি.মি.। যুলহুলাইফা মদীনাবসী ও মদীনার দিক থেকে আসা হাজ্বীদের মিকাত|

জুহফা:

রাবেগ শহরের নিকটে অবস্থিত। মক্কা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৮৬ কি.মি.। এটা সিরিয়া, মিসর ও মরোক্কোসহ পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা হাজ্বীদের মিকাত।

য়ালামলাম:

ইয়েমেনবাসীর মক্কা গমনের পথে অবস্থিত এক উপ্যতকা। বর্তমানে এর নাম «আস্সা»দিয়াহ»। মক্কা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১২০ কি.মি.। এটা ইয়েমেনবাসীদের মিকাত।

৪ - কারনুল মানাযেল:

বর্তমানে এর নাম «আস্সাইলুল কাবীর»। মক্কা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৭৫ কি.মি.।

এটা তায়েফ ও নাজদবাসীদের মিকাত। তায়েফের পথে হাদা এর দিকে আরেকটি জায়গা রয়েছে, যার নাম ওয়াদি মুহাররাম। এ উভয়টিই নাজদবাসী এবং যারা তায়েফের পথে আসে তাদের মিকাত।

৫ - যাতু ইরক:

বর্তমানে এর নাম «আদ্দারীবা» অথবা «আল খারীবাত»। মক্কা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১০০কি.মি.। বর্তমানে তা পরিত্যাক্ত একটি জায়গা। এটা পূর্বাঞ্চলীয়, যেমন ইরাক, ইরান ও এর ওপারের দেশবাসীদের মিকাত।

মিকাত বিষয়ে ওপরে যা উল্লেখ হলো এর দলিল ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত হাদীস,«রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিকাত হিসেবে আহলে মদীনার জন্য যুলহুলাইফা, আহলে ইয়েমেনের জন্য য়ালামলাম নির্ধারণ করেছেন। তিনি বলেছেন,«এ মিকাতগুলো ওই এলাকাবাসী ও বহিরাগতদের যারা ওই অঞ্চল দিয়ে আসবে, হজ্ব ও উমরা আদায়ের উদ্দেশ্যে, তাদের জন্য। আর যারা এ অঞ্চলসমূহের ভিতরে থাকবে, তাদের মিকাত হলো যে জায়গা থেকে ইহরাম বাঁধবে, এমনকি মক্কাবাসী মক্কা থেকেই ইহরাম বাঁধবে।») বর্ণনায় বুখারী)

যাতু ইরক মিকাত হিসেবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্ধারণ করে যান নি, বরং তা নির্ধারণ করেছেন উমর রাযি.।

দ্বিতীয়ত: কালসংক্রান্ত মিকাত

কালসংক্রান্ত মিকাত

হজ্ব ও উমরা আদায়ের কাল

ক. হজ্বের কাল-

বিষয়ক মিকাত হলো হজ্বের মাসসমূহ। আর তা হলো, শাওয়াল, যিলকদ ও যিল হজ্ব|

খ. উমরা আদায়ের কাল-

বিষয়ক মিকাত: সারা বছর ।