উমরায় প্রবেশের নিয়ত করা। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, «নিশ্চয় আমলের নির্ভরতা নিয়তের ওপর। আর প্রতি ব্যক্তির ভাগে তাই থাকে যা সে নিয়ত করে।»
(বর্ণনায় বুখারী )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,«তোমরা সায়ী করো; নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের ওপর সায়ী লিখে দিয়েছেন।»(বর্ণনায় আহমদ)
আল্লাহ তাআলা বলেন:
(وَلۡيَطَّوَّفُواْ بِٱلۡبَيۡتِ ٱلۡعَتِيقِ)
{আর তারা যেন প্রাচীন ঘরের তাওয়াফ করে}[ সূরা আল হাজ্জ: ২৯]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিকাতের কথা উল্লেখ করে বলেছেন,«এ মিকাতগুলো ওই এলাকাবাসীর এবং অন্য যারা ওই অঞ্চল দিয়ে আসবে, হজ্ব ও উমরা আদায়ের উদ্দেশে, তাদের জন্য।
(لَتَدۡخُلُنَّ ٱلۡمَسۡجِدَ ٱلۡحَرَامَ إِن شَآءَ ٱللَّهُ ءَامِنِينَ مُحَلِّقِينَ رُءُوسَكُمۡ وَمُقَصِّرِينَ)
{তোমরা ইনশাআল্লাহ নিরাপদে তোমাদের মাথা মুণ্ডন করে এবং চুল ছেঁটে নির্ভয়ে আল-মাসজিদুল হারামে অবশ্যই প্রবেশ করবে।}
[ সূরা আল ফাতহ:২৭]
উল্লিখিত রুকন ও ওয়াজিবসমূহ ব্যতীত উমরার অন্য আমলসমূহ সুন্নত, যেমন:
১ - ইহরামের সময় গোসল করা।
২- একটি চাদর ও একটি সেলাইবিহীন লুঙ্গিতে ইহরাম করা।
৩ - তালবিয়া পাঠ করা ও তা উঁচু স্বরে পাঠ করা।
৪- তাওয়াফের সময় ইযতিবা করা। ইযতিবা হলো ডানবগলের নিচ দিয়ে চাদর পেঁচিয়ে ডানকাঁধ উন্মুক্ত রাখা।
কিছু নির্দেশনা১ - যে ব্যক্তি উমরার কোনো রুকন ছেড়ে দিল, তার উমরা আদায় হবে না যতক্ষণ না সে তা পুনরায় আদায় করে নেবে।
২ - যে ব্যক্তি উমরার কোনো একটি ওয়াজিব ছেড়ে দিল তাকে দম প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ একটি বকরী অথবা গরু ও উটের একসপ্তমাংশ।
৩ - যে ব্যক্তি উমরার কোনো একটি সুন্নত ছেড়ে দিল, তাকে কোনো কিছু দিতে হবে না। বরং তার উমরা শুদ্ধ বলে ধরা হবে।