মক্কা
সেমিটিক ভাষা বাক্কা থেকে উৎকলিত, যার অর্থ উপত্যকা
পবিত্র কুরআনের এক জায়গায় মক্কার নাম «বাক্কা» বলে উল্লিখিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
(إِنَّ أَوَّلَ بَيۡتٖ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكٗا وَهُدٗى لِّلۡعَٰلَمِينَ ٩٦)
{নিশ্চয় প্রথম ঘর, যা মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছে, তা বাক্কায় (মক্কায়)। যা বরকতময় ও হিদায়েত বিশ্ববাসীর জন্য।}
[সূরা আলে ইমরান:৯৬]
খৃষ্টপূর্ব ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইবরাহীম ও ঈসমাঈল আলাইহিমাস সালাম এর যুগ থেকে মক্কার ইতিহাস শুরু হয়; কেননা তাঁরাই ছিলেন মক্কার প্রথম বসবাসকারী। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইবরাহীম আলাইহিস সালামের বক্তব্য এভাবে উল্লেখ করেন:
(رَّبَّنَآ إِنِّيٓ أَسۡكَنتُ مِن ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيۡرِ ذِي زَرۡعٍ عِندَ بَيۡتِكَ ٱلۡمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ فَٱجۡعَلۡ أَفِۡٔدَةٗ مِّنَ ٱلنَّاسِ تَهۡوِيٓ إِلَيۡهِمۡ وَٱرۡزُقۡهُم مِّنَ ٱلثَّمَرَٰتِ لَعَلَّهُمۡ يَشۡكُرُونَ ٣٧ )
{আমাদের রব, নিশ্চয় আমি আমার কিছু বংশধরদেরকে ফসলহীন উপত্যকায় আপনার পবিত্র ঘরের নিকট বসতি স্থাপন করালাম, হে আমাদের রব, যাতে তারা সালাত কায়েম করে। সুতরাং কিছু মানুষের হৃদয় আপনি তাদের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন এবং তাদেরকে রিয্ক প্রদান করুন ফল-ফলাদি থেকে, আশা করা যায় তারা শুকরিয়া আদায় করবে।}
[সূরা ইবরাহীম: ৩৭]
ইবরাহীম আলাইহিস সালামের দুআর ফজিলতেই ইসমাঈল আলাইহিস সালামের পায়ের নীচ থেকে যমযমের পানি বিস্ফারিত হয় যখন তার মায়ের কাছে-থাকা খাদ্য ও পানীয় শেষ হয়ে যায়। সে সময় থেকে বিভিন্ন গোত্র এ কূপের কাছে আসতে থাকে এবং মক্কা নগরীতে শুরু হয় জীবনচাঞ্চল্য।
বিভিন্ন গোত্র, নানা জায়গা থেকে মক্কায় আসতে থাকে, আর আধিক্য পেতে থাকে তারা সংখ্যায়। কুরাইশ গোত্রের কাছে অর্পিত হয় মক্কার নেতৃত্ব তথা শাসনভার। কুরাইশরা তাদের এ দায়িত্বে বহাল থাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাবের পূর্ব পর্যন্ত। নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাব মক্কা ও সমগ্র পৃথিবীর জীবনধারায় সাধিত করে বিশাল পরিবর্তন ।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কায় প্রেরিত হলেন, আর কাবা পরিণত হলো মুসলমানদের কিবলায় এবং ইসলামী দাওয়াতের সূতিকাগারে। তবে মক্কাবাসীরা ছিল ইসলামি দাওয়াতের বিরুদ্ধে অত্যাধিক কঠোর, মুসলমানদেরকে সবথেকে বেশি নির্যাতনকারী। এমনকি একসময় মুসলমানরা নিজ ভূমি ছেড়ে হিজরত করে চলে যেতে বাধ্য হন মদীনায়। এবং সেখানেই প্রতিষ্ঠা লাভ করে সর্বপ্রথম ইসলামি রাষ্ট্র। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিজয়ী বেশে ফিরে আসেন মক্কায়। সে সময় থেকে মক্কা একটি বড় ইসলামি অঞ্চলে পরিণত হয়, যা অদ্যাবধি বহাল রয়েছে।
মক্কা মুকাররামা ও মক্কার পবিত্র-অঞ্চল মুসলিম শাসক ও খলীফাদের সমধিক গুরুত্বের স্থান ছিল, যা তারা নানা পর্যায়ে উন্নত ও সম্প্রসারিত করেছেন এবং তাকে একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছেন, যা থেকে ইসলামের আলো সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :
(وَمَن دَخَلَهُۥ كَانَ ءَامِنٗاۗ )
{আর যে তাতে প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ হয়ে যাবে}
[সূরা আলে ইমরান:৯৭] অর্থাৎ যে হারামে মক্কী তথা মক্কার পবিত্রাঞ্চলে প্রবেশ করে সে নিরাপদ হয়ে যায়।
আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : «আবু হুরায়রা রাযি. «মদীনা ও মক্কা ফেরেশতা দিয়ে ঘেরা। এ দুটোর প্রতিটির পথেই একজন করে ফেরেশতা রয়েছে। দাজ্জাল ও মহামারি এ দুটোতে প্রবেশ করবে না।»(বর্ণনায় আহমদ)
জাবের রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন «মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় অন্য মসজিদে নামাজ আদায়ের চেয়ে একলক্ষগুণ অধিক ফজিলতপূর্ণ।»(বর্ণনায় ইবনে মাজাহ )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, «আল্লাহর কসম, নিশ্চয় তুমি আল্লাহর সর্বোত্তম ভূখণ্ড এবং আল্লাহ-সৃষ্ট ভূখণ্ডসমূহের মধ্যে তাঁর কাছে সবথেকে প্রিয় ভূখণ্ড।»(বর্ণনায় তিরমিযী )
ইরশাদ হয়েছে :
(وَمَن يُرِدۡ فِيهِ بِإِلۡحَادِۢ بِظُلۡمٖ نُّذِقۡهُ مِنۡ عَذَابٍ أَلِيمٖ ٢٥)
{আর যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করে সেখানে পাপকাজ করতে চায়, তাকে আমি যন্ত্রণাদায়ক আযাব আস্বাদন করাব।}[ সূরা আল হাজ্ব:২৫]
ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, «আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণার পাত্র তিন ব্যক্তি» (বর্ণনায় বুখারী)এ তিন ব্যক্তির মধ্যে একজন হলো «মক্কার পবিত্র অঞ্চলে পাপকারী»
(বর্ণনায় মুসলিম)
ইরশাদ হয়েছে :
(وَإِذۡ جَعَلۡنَا ٱلۡبَيۡتَ مَثَابَةٗ لِّلنَّاسِ وَأَمۡنٗا)
{আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম।}
সূরা আল বাকারা:১২৫]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন«মক্কায় অস্ত্রবহন করা তোমাদের কারো জন্যেই বৈধ নয়»
(বর্ণনায় বুখারী) তিনি অন্যত্র বলেছেন,«¯^য়ং আল্লাহ তাআলা মক্কাকে হারাম করেছেন, মানুষ তা হারাম করেনি। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে তার জন্য হালাল হবে না যে, সে এতে রক্তপাত ঘটাবে অথবা এর কোনো গাছ কাটবে।
ইরশাদ হয়েছে :
(يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِنَّمَا ٱلۡمُشۡرِكُونَ نَجَسٞ فَلَا يَقۡرَبُواْ ٱلۡمَسۡجِدَ ٱلۡحَرَامَ بَعۡدَ عَامِهِمۡ هَٰذَاۚ )
{আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম।}
[সূরা আল বাকারা:১২৫]
ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, «আল্লাহ তাআলা মক্কাকে হারাম করেছেন। আর আমার পূর্বে কারো জন্যেই তা হালাল ছিল না। আমার পরেও কারো জন্যে তা হালাল হবে না। আমার জন্য তা একদিনের কিছু সময়ের জন্য হালাল করা হয়েছিল। অতএব এর তরতাজা তরুলতা কাটা যাবে না। এর গাছপালা কাটা যাবে না। এর শিকার জন্তু তাড়ানো যাবে না। এতে পড়ে-থাকা কোনোকিছু কুড়িয়ে নেয়া যাবে না, তবে কেবল পরিচয়-দানকারীর... জন্য»(বর্ণনায় বুখারী) (অর্থাৎ যে তার মালিককে খোঁজে বের করতে প্রয়োজনীয় ঘোষণা ও শ্রম দিতে প্রস্তুত)»
মাশায়েরে হজ্ব
হজ্বের দৃশ্যমান নিদর্শনাবলি যা হজ্বের ইবাদতকে বৈশিষ্টমণ্ডিত করে
আরাফাত আরাফা শব্দের বহুবচন। আরাফাকে আরাফা নামকরণের
কারণ হলো, এ ময়দানে আদম ও হাওয়ার পরিচিতি ঘটে। অথবা এ জন্য যে মানুষ এতে নিজেদের গুনাহ স্বীকার করে নেয়। উল্লিখিত উভয় প্রক্রিয়াতেই عرف ধাতু থেকে উৎকলিত শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।
আরাফা হলো পবিত্র অঞ্চলের বাইরে অবস্থিত হজ্বের স্থান। আরাফা মসজিদুল হারামের দক্ষিণ-পূর্বে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আরাফার মোট পরিধি ১০,৪ বর্গ কি.মি.। আরাফার ময়দানে নয়-ই যিলহজ্ব হাজ্বীগণ একত্রিত হন।
মসজিদের পূর্ব পাশে একটি পাহাড় রয়েছে, যা নামিরা বলে খ্যাত। এ পাহাড়ের নাম থেকেই মসজিদের নাম হয়েছে মসজিদে নামিরা।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হজ্বের সময়, ওয়াদি উরানার মধ্যখানে অবস্থান নেন। সেখানে তিনি খুতবা দেন ও নামাজ আদায় করেন। ওয়াদি উরানায় তাঁর খুতবা দান ও নামাজের জায়গাতেই আব্বাসি খেলাফতের শুরুতে মসজিদ নির্মিত হয়। সৌদিযুগে এ মসজিদটি আরো সম্প্রসারিত হয়। বর্তমানে এর পরিধি এক লক্ষ দশ হাজার বর্গমিটার। যিলহজ্বের নয় তারিখে এ মসজিদে হাজ্বীগণ একত্র হয়ে থাকেন|
জাবালে রহমতের নিচে পাহাড়ে আরোহনকারীর ডানে এ মসজিদটি অবস্থিত। এ মসজিদে কয়েকটি বড় বড় পাথর রয়েছে যেগুলোর পাশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরাফা দিবসের বিকালে অবস্থান করেছিলেন। এ মসজিদেও হাজ্বীগণ নয়-ই যিলহজ্ব একত্র হন।
এটি ছোট একটি পাহাড় যা বড় পাথর দিয়ে গঠিত। পাহাড়টি মক্কা থেকে পূর্ব দিকে ২০ কি.মি. দূরে অবস্থিত। এ পাহাড়ের শৃঙ্গ হলো সমতল
ও প্রশস্ত, যার ব্যাস ৬৪০ মি.। এ পাহাড়েও হাজ্বীগণ যিলহজ্বের নয় তারিখে একত্র হন।
আরবিতে «এমনা» শব্দের অর্থ হলো কোনো তরল পদার্থের সজোড়ে স্খলন ঘটানো। আর যেহেতু মিনায় কুরবানীর জন্তুর রক্তের স্খলন ঘটানো হয়, সে হিসেবে এ স্থানের নাম মিনা রাখা হয়েছে। মিনা মক্কা ও মুযদালিফার মাঝখানে মসজিদুল হারাম থেকে ৭ কি.মি. পূর্বে অবস্থিত। মিনায় হাজ্বীগণ যিলহজ্বের ১১-১২ তারিখ রাতযাপন করেন, যারা দ্রুত মিনা ছেড়ে চলে যেতে চান। আর যারা দেরি করতে চান তারা ১৩ তারিখের রাতও মিনায় যাপন করেন। মিনা মক্কার পবিত্র অঞ্চলের ভিতরে অবস্থিত। মিনায় রয়েছে মসজিদে নামিরা, তিন জামারাত, যেখানে হাজ্বীগণ পাথর মারেন|
জামারাত শব্দটি জামরা-এর বহুবচন। জামরা অর্থ ছোট পাথর তথা কঙ্কর।
মিনায় অবস্থিত তিন জামারাত হলো: ছোট-জামরা, মধ্য-জামরা ও জামরাতুল আকাবা বা বড়-জামরা। এগুলো হলো পাথরের তিনটি খুঁটি, যা তিনটি গর্তে অবস্থিত। এ তিনটি হলো ওই জায়গার আলামত যেখানে ইবরাহীম আলাইহিস সালামের সামনে শয়তান এসে হাজির হয়েছিল, অতঃপর তিনি তাকে পাথর নিক্ষেপ করেছিলেন। জামরাতুল আকাবা ও মধ্য-জামরার মাঝে দূরত্ব হলো ২৪৭ মি.। আর মধ্য-জামরা এবং ছোট-জামরার মাঝে দূরত্ব হলো প্রায় ২০০ মি.
ছোট-জামরার নিকটবর্তী, মিনার দক্ষিণাস্থ পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এ মসজিদ।
মুযদালিফা হলো মিনা ও আরাফার মাঝে অবস্থিত একটি জায়গা, যাতে হাজ্বীগণ আরাফায় অবস্থানের পর রাতযাপন করেন।
মুযদিফার মধ্যখানে «আল মাশআরুল হারাম» অবস্থিত। এ জায়গায় অবস্থান করা মুস্তাহাব।
এখানে হাজ্বীদেরকে অবস্থান করতে হয়, প্রত্যুষে আল্লাহর কাছে দুআ-মুনাজাত, আল্লাহর যিকর ও শুকর ইত্যাদির জন্য। এটা হলো হাজ্বীদের রাতযাপনের স্থল যেখানে তারা আরাফা থেকে ৯ যিলহজ্বের সূর্যাস্তের পর চলে আসেন।
এটা হলো আল্লাহর পবিত্র ঘর, যার কতগুলো প্রকাশ্য নিদর্শন রয়েছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :
কাবা শরীফ চতুষ্কোণ একটি ঘর
এটা হলো বায়তুল্লাহর উত্তারাংশ। কুরাইশদের কাবা নির্মাণের সময় অর্থ সঙ্কটে পড়ায় তারা এ অংশটি নির্মাণ করতে পারেননি। অতঃপর তারা এ জায়গায় ধনুকের ন্যায় বাঁকা একটি দেয়াল দাঁড় করিয়ে দেন, এটা বুঝানোর জন্য যে, এ অংশটা বায়তুল্লাহর মধ্যে শামিল। হিজরে ঈসমাঈল নামটি সাধারণ মানুষের দেয়া, এটা কোনো শরয়ী নাম নয়।
হাজরে আসওয়াদ কাবার দক্ষিণ কোণে কাবা ঘরের দরজার বাম দিকে অবস্থিত। এ পাথরটি জান্নাতের পাথর। পাথরটি ভেঙ্গে গিয়েছিল। এখন কেবল এর আটটি ছোট ছোট টুকরা রয়েছে, যার প্রতিটি খেজুরের মতো বড়।
এটা হলো কাবার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ। পবিত্র কাবার এ কোণটি ইয়েমেনের দিকে ফিরানো বলে একে রুকনে য়্যামানি বলা হয়। রুকনে য়্যামানির বৈশিষ্ট্য হলো তা কাবার প্রথমভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত, যা ইবরাহীম ও ঈসমাঈল আলাইহিমাস্ সালাম নির্মাণ করেছিলেন।
মুলতাযাম হলো হাজরে আসওয়াদ ও কাবার দরজার মাঝখানে দু মিটার পরিমাণ জায়গা। মুলতাযাম হলো দুআ কবুলের স্থল। দু গাল, বক্ষদেশ, দু বাহু, ও দু হাতের তালু মুলতাযামের সাথে লাগিয়ে দুআ করা সুন্নত।