উমরার রুকন, ওয়াজিব ও সুন্নতসমূহ

8816

 

উমরার রুকনসমূহ

১- ইহরাম অর্থাৎ

উমরায় প্রবেশের নিয়ত করা। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, «নিশ্চয় আমলের নির্ভরতা নিয়তের ওপর। আর প্রতি ব্যক্তির ভাগে তাই থাকে যা সে নিয়ত করে।»
(বর্ণনায় বুখারী )

২- সাফা-মারওয়ার মাঝে সায়ী করা:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,«তোমরা সায়ী করো; নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের ওপর সায়ী লিখে দিয়েছেন।»(বর্ণনায় আহমদ)

৩- তাওয়াফ:

আল্লাহ তাআলা বলেন:

(وَلۡيَطَّوَّفُواْ بِٱلۡبَيۡتِ ٱلۡعَتِيقِ)

{আর তারা যেন প্রাচীন ঘরের তাওয়াফ করে}[ সূরা আল হাজ্জ: ২৯]

উমরার ওয়াজিবসমূহ

১ - মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিকাতের কথা উল্লেখ করে বলেছেন,«এ মিকাতগুলো ওই এলাকাবাসীর এবং অন্য যারা ওই অঞ্চল দিয়ে আসবে, হজ্ব ও উমরা আদায়ের উদ্দেশে, তাদের জন্য।

২ - মাথা মুণ্ডন অথবা চুল ছোট করা। আল্লাহ তাআলা বলেন:

(لَتَدۡخُلُنَّ ٱلۡمَسۡجِدَ ٱلۡحَرَامَ إِن شَآءَ ٱللَّهُ ءَامِنِينَ مُحَلِّقِينَ رُءُوسَكُمۡ وَمُقَصِّرِينَ)

{তোমরা ইনশাআল্লাহ নিরাপদে তোমাদের মাথা মুণ্ডন করে এবং চুল ছেঁটে নির্ভয়ে আল-মাসজিদুল হারামে অবশ্যই প্রবেশ করবে।}
[ সূরা আল ফাতহ:২৭]

উমরার সুন্নতসমূহ

উল্লিখিত রুকন ও ওয়াজিবসমূহ ব্যতীত উমরার অন্য আমলসমূহ সুন্নত, যেমন:

১ - ইহরামের সময় গোসল করা।

২- একটি চাদর ও একটি সেলাইবিহীন লুঙ্গিতে ইহরাম করা।

৩ - তালবিয়া পাঠ করা ও তা উঁচু স্বরে পাঠ করা।

৪- তাওয়াফের সময় ইযতিবা করা। ইযতিবা হলো ডানবগলের নিচ দিয়ে চাদর পেঁচিয়ে ডানকাঁধ উন্মুক্ত রাখা।

কিছু নির্দেশনা

১ - যে ব্যক্তি উমরার কোনো রুকন ছেড়ে দিল, তার উমরা আদায় হবে না যতক্ষণ না সে তা পুনরায় আদায় করে নেবে।

২ - যে ব্যক্তি উমরার কোনো একটি ওয়াজিব ছেড়ে দিল তাকে দম প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ একটি বকরী অথবা গরু ও উটের একসপ্তমাংশ।

৩ - যে ব্যক্তি উমরার কোনো একটি সুন্নত ছেড়ে দিল, তাকে কোনো কিছু দিতে হবে না। বরং তার উমরা শুদ্ধ বলে ধরা হবে।